ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
  ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে
  আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই ডাবের পানি দেখে থাকি এবং খেয়ে থাকি।
  কিন্তু আমাদের এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই।
  সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ
  সহকারে পড়ুন।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে যে সাত কারণে ডাবের
  পানি পান করবেন সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা
  রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
  ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সঠিক একটি ধারণা রাখা
  অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি আপনার এই সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি
  শুধু আপনার জন্যই। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে সকল বিষয় উল্লেখ করবো। আমরা সবাই
  ডাবের পানি খেয়ে থাকি কিন্তু এর যে অপকারিতা রয়েছে সেটা কি জানি? আজকে আমরা এ
  সকল বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলের
  মাধ্যমে জেনে নেয়া যাক সমস্ত বিষয়গুলো।
খালি পেটে ডাবের পানি খেলে কি হয়?
  সকালে শরীর ভালো রাখার জন্য কি খেতে হবে এগুলো বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তা করে
  থাকেন। বেশিরভাগ মানুষ ঘুম থেকে সকালে উঠে চা অথবা কফি খেয়ে নেন। কেউ কেউ রয়েছে
  এক গ্লাস পানি দিয়ে দিনটা শুরু করেন। সকালে খালি পেটে পানি পান করাটা সবচেয়ে
  বেশি ভালো। এটা সব সময় অনেক উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে পানির বদলে ডাবের
  পানি খেতে পারলে আরো অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। 
  সকালে যদি আপনি ডাবের পানি পান করেন। তাহলে আপনার শরীরে খুব দারুণ কার্যকারী হতে
  পারে। অনেকেই ভাবেন যে ডাবের পানিতে হয়তো প্রচুর পরিমাণে কার্বো থাকে। তাই এইটা
  ওজন বাড়ার জন্য কারণ হয়ে থাকে। কিন্তু এই ডাবের পানি তার চেয়েও বেশি উপদেয়
  একটি পানীয়। ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পৌঁছে দিতে পারে।
  খুব সহজে হজম করতে, ডাবের পানি অনেক ভালো কাজ করে। 
  সেই সাথে ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং পটাশিয়াম
  এগুলো সমানভাবে সরবরাহ করে। তাই যারা শরীরচর্চা করেন তারা প্রতিদিন অবশ্যই ডাবের
  পানি পান করবেন। তাহলে শরীরের অনেক কার্যকারিতা হবে। ডাবের পানিতে যে
  ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে সেটার মাত্রা অনেক বেশি থাকে। খালি পেটে ডাবের পানি
  খেলে কি হয়? এইগুলো জানার পাশাপাশি ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
  সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। 
  আপনি যদি নিয়মিত ডাবের পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক
  থাকবে। যাদের ব্লাড সুগারের সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি খেতে পারেন। ডাবের
  পানি ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। সুতরাং বুঝতে পারছেন যে খালি পেটে ডাবের
  পানি খেলে কি হয়।
  শরীর আর্দ্র রাখতে ডাবের পানিঃ শরীরের ভেতরে আদ্র রাখা খুব প্রয়োজন।
  কারণ শরীরে পানি শূন্যতা যদি দেখা দেয় তাহলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেই
  সাথে কিডনিতে পাথর আর সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত বেশি বেশি পানি পান করা
  অত্যন্ত জরুরী। শরীরে আর্দ্র রাখতে বেশ সাহায্য করে ডাবের পানিও। তাই খালি পেটে
  ডাবের পানি খেতে পারেন।
  শরীরচর্চার পরে ডাবের পানিঃ আপনি নিয়মিত শরীরচর্চা করার ফলে অনেকটা পানি
  ঘাম আকারে বের হয়ে যায়। সেজন্য এই ঘাটতি পূরণ করতে বেশ ভালো কাজে দেবে ডাবের
  পানি। তাই অবশ্যই শরীরচর্চার পরে ডাবের পানি পান করবেন। শরীরে ইলেকট্রোলাইট
  ফিরিয়ে আনতে খুব ভালো সাহায্য করে এই ডাবের পানি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
    গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব।
    গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের অনেক পানি শূন্যতা দেখা দেয় সেদিকে খেয়াল রাখা
    অবশ্যই জরুরি। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি
    পান করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করলে বেশ উপকারী।
    আসুন তাহলে আরো কয়েকটি উপকার জেনে নেই।
  
  
    বুক জ্বালাপোড়া কমায়ঃ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই সমস্যাটা খুব
    বেশি দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো বুক জ্বালাপোড়া করে। সেজন্য ডাবের পানি
    খেলে এই সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন। এসিডের মাত্রা কে কমিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য
    করে ডাবের পানি। তাই ডাবের পানি খাওয়াটা অনেক উপকারী। বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের
    সমস্যা প্রতিরোধ করতে এই ডাবের পানি অনেক কার্যকরী। 
  
  
    পানি শূন্যতা কমায়ঃ গর্ভাবস্থায় মায়েদের পানিশূন্যতা সমস্যা
    বেশি দেখা যায়। সেজন্য ডাবের পানি খেলে এই পানিশূন্যতা অনেক কমিয়ে যায়।
    পানিশূন্যতা রোধ করতে ডাবের পানি অনেক ভালো কাজে দেয়। 
  
  
    কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেঃ গর্ভাবস্থায় মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে
    সমস্যা বেশি দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রোজেস্টেরন হরমোন বেড়ে
    যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে
    ডাবের পানি অনেক বেশি কাজে দেয়। তাই অবশ্যই ডাবের পানি বেশি বেশি খেতে
    পারেন। 
  
  
    ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামঃ ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও
    ম্যাগনেসিয়াম দুটো উপাদান। এই দুটো উপাদান গর্ভাবস্থায় মায়েদের স্বাস্থ্য
    ভালো রাখতে বেশ সাহায্য করে। 
  
  
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ নিয়মিত ডাবের পানি পান করার ফলে রক্তচাপ
    নিয়ন্ত্রণে আসতে বেশ সাহায্য করে। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম তাই
    এটা বেশ ভালো সাহায্য করে।
  
  
    ডাবের পানিতে ওমেগা থ্রিঃ ডাবের পানিতে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফাইবার,
    ফ্যাটি এসিড, যা সন্তান ও মায়ের দুজনের স্বাস্থ্যর জন্য অনেক ভালো। 
  
  
      পৃথিবীর জনসংখ্যার এক বিশাল অংশে মানুষ এই ডাবের পানি স্বাদে বিমোহিত হয়ে
      আছে ডাবের পানি অনেক সুস্বাদু ও উপকারী এই ডাবের পানিতে বিশাল স্বাস্থ্য গুণ
      রয়েছে নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীরে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
      চলুন নিচে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করেছি সকল
      বিষয়গুলো জানতে পারবেন। 
    
    ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
      ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা সুন্দর করে আলোচনা
      করবো। তাই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে সকল বিষয় জানতে ও বুঝতে
      পারবেন। এই ডাবের পানিতে অনেক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা ত্বক পরিষ্কার রাখতে
      বেশ ভালো সাহায্য করে। ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের যে উপকার হয় সেটা অনেক
      গবেষণা করা হয়েছে। 
    
    
      বিভিন্ন দেশে ত্বকে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং আদ্রতা ধরে রাখতে এই
      ডাবের পানি অনেক ভালো সাহায্য করে। এই ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যামিনো এসিড ও
      শর্করা যা শরীরের সূক্ষ্ম ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং আদ্রতা বজায় রাখতে
      সাহায্য করে। ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান। ফলে এইটা দিয়ে ত্বক
      পরিষ্কার করলে ত্বক অনেক মিশ্রণ ও সুন্দর হয়।
    
    
    
      ডাবের পানিতে আরেকটি উপাদান রয়েছে সেটি হচ্ছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। ফলে
      মুখের যে ব্রণ হয়ে থাকে সেটা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিন্তু এটা
      সঠিকভাবে বলা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে দ্রুত ব্রণ দূর করতে ডাবের পানি
      বেশ সহায়তা করতেও পারে। গরমে ডাবের পানি পান করা অনেক উপকার। 
    
    
      আমাদের দেশে গরমে সাধারণত ডাবের পানি পান করে থাকে। গরমের সময় ডাবের পানি
      পান করলে  শরীরের ক্লান্তি অনেক দূর হয়। তবে ডাবের পানি শীতের দিনেও
      বেশ ভালো উপকার এবং গরমের দিনেও বেশ ভালো উপকার। সেজন্য আপনি গরমে ও শীতে কচি
      ডাবের পানি খেতে পারেন। 
    
    ডাবের পানি খাওয়ার কিছু উপকারিতা
- ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা শরীরের ক্যালসিয়াম যোগান দিতে সাহায্য করে।
- শরীরে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বের করতে ডাবের পানি বেশ সাহায্য করে।
- ডাবের পানিতে থাকা আঁশ শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করতে বেশ ভালো সাহায্য করে।
- ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ডাবের পানিতে চর্বির পরিমাণ কম থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে।
- পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানি কার্যকারিতা অনেক বেশি।
- যে কোনো রকম কমল পানির থেকে এই ডাবের পানিতে কম ক্যালরি ও চিনি থাকে।
- ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও সোডিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে বেশ ভালো সাহায্য করে।
- রোদের কারণে শরীর থেকে যে তরল পানি বিশিষ্ট ঘাম বের হয় সেটার ঘাটতি পূরণ করতে ডাবের পানি অনেক বেশি কাজে দেয়। তাই ডাবের পানি খেলে শরীরের তরল উপাদান আদ্রতা বজায় রাখে। ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
- এতে আঁশ থাকার কারণে হজমে সহায়তা করতে সাহায্য করে।
যে সাত কারণে ডাবের পানি পান করবেন
        গরমের সময় এক গ্লাস ডাবের পানি পান করলে অনেক বেশি শান্তি পাওয়া যায়। এই
        পানিতে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান যা শরীরের ক্যালসিয়াম,
        পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সকল কিছুর ঘাটতি পূরণ করে। সারা বিশ্বে এই ডাবের
        পানির অনেক কদর রয়েছে। যে সাত কারণে ডাবের পানি পান করবেন সে সকল বিষয়
        আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে
        বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জেনে নিন।
      
      
        ত্বকের জন্য ভালো এর আগে হয়তো কোথাও দেখছেন কিনা জানিনা। তবে ত্বকের জন্য
        ডাবের পানি অনেক ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলে ব্রণ দূর করতে ডাবের পানি অনেক
        সাহায্য করে। আপনি যদি সাত দিন এই ডাবের পানি পান করেন তাহলে আপনার ত্বক
        অনেক সতেজ থাকবে। আপনি যদি ত্বকের ব্যাপারে অনেক যত্নশীল হয়ে থাকেন এবং
        ত্বক আর্দ্র রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ডাবের পানি পান করতে পারেন।
        ডাবের পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার শারীরিক সুস্থতা আরো বেশি
        বৃদ্ধি পাবে।
      
      
      
        পরিপাকে সাহায্য করেঃ ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা
        শরীরের এসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। 
      
      
        কিডনির পাথরঃ ডাবের পানিতে যে গুনাগুন রয়েছে তা অতুলনীয়। ডাবের
        পানি শরীরের জন্য অনেক বেশি ভালো। কিডনিতে যদি পাথর হয়ে থাকে তাহলে ডাবের
        পানি প্রতিনিয়ত পান করবেন। এতে করে পাথরগুলো ভেঙে যাবে এবং কিডনি পরিষ্কার
        থাকবে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে
        তারপরে ডাবের পানি খেতে বলবো। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 
      
      
        ওজন কমায়ঃ ডাবের পানিতে অল্প কিছু পরিমাণে চর্বি থাকার কারণে
        এটা বেশি বেশি খাওয়া যায়। এই ডাবের পানি খুদা কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন
        নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে। 
      
      
        সকলের ক্লান্তি দূর করতেঃ আপনার যদি সকালে উঠে মাথা ব্যাথা করে এবং
        শরীর দুর্বলতা করে। তাহলে অবশ্যই ডাবের পানি এক গ্লাস পান করবেন। এতে করে
        মাথা ব্যাথা এবং শরীর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
      
      
        রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
        বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ডাবের পানি। শরীরের জন্য ডাবের পানি অনেক বেশি
        উপকারী। মূত্রনালী-সংক্রমণ ইনফেকশন দূর করতে বেশ সাহায্য করে ডাবের পানি।
        এছাড়াও ডাবের পানি নিয়মিত পান করার ফলে দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর হয়ে
        যায়। 
      
      
      
        ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখেঃ ডাবের পানি
        শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে খুব ভালো
        সাহায্য করে। এটির কারণে রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে
        নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের শারীরিক দুর্বলতা
        কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
        সম্পর্কেও আমরা আজকে সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
      
    ডাবের পানির অপকারিতা
      প্রতিটা জিনিসেরই ভালো খারাপ দুটোই রয়েছে। ডাবের পানিতেও সেরকম একটা কিছু
      রয়েছে। এর কিছু অপকারিতা অবশ্যই আপনাদের জানানো প্রয়োজন। তাই আজকে ডাবের
      পানির অপকারিতা বিশেষ সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া
      যাক ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। 
    
    - আপনি যদি নিয়ম করে ডাবের পানি না পান করেন। তাহলে আপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। অপ্রয়োজনীয় ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি পান করার ফলে কিছু কিছু মানুষের ডায়রিয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
- কিছু কিছু মানুষের ডাবের পানি খাওয়ার ফলে এলার্জি সৃষ্টি হয়। সেজন্য এলার্জি রোগীদের ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- যাদের ঠাণ্ডা অথবা সর্দি সমস্যা বেশিরভাগ হয়ে থাকে। তারা বুঝে শুনে ডাবের পানি পান করবেন। নয়তো অনেক সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
      ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান গুলো
      শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং ইলেকট্রোলাইট ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
      যদি এগুলোর কোনটার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে ইলেকট্রোলাইট, উচ্চ রক্তচাপ,
      ডায়াবেটিস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় নাও থাকতে পারে। সেজন্য এদিকে অবশ্যই
      সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আবার এইটা রক্তচাপ কমিয়ে দিতেও পারে।
    
    
    
      এই সকল কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে
      ডাবের পানি কিডনির জন্য অনেক ভালো। কিন্তু ডাবের পানি কিডনি রোগীদের জন্য
      ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই যাদের কিডনি রোগ আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
      নিয়ে ডাবের পানি পান করবেন।
    
    লেখকের মন্তব্য
    প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও
    অপকারিতা এবং যে সাত কারণে ডাবের পানি পান করবেন সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট
    ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে
    অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে
    শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে
    আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। 
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url