অমিডন খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
    অমিডন খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
    আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই অমিডন ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটি খেলে কি
    মোটা হওয়া যাজাওয়াই সম্পর্কে হইত অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে
    সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
  
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে অমিডন এর
    পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা, অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ,
    গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্রণের সমস্যা, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে
    যাবেন।
  ভূমিকা
    অমিডন ওষুধ প্রায় কমবেশি অনেকেই চিনেন। তবে এর যে ভালো খারাপ দিক রয়েছে সেটা
    অনেকেই জানেন না। এছাড়াও অনেক মানুষের মনে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় সেটা হচ্ছে
    অমিডন খেলে কি মোটা হয়? তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে
    জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। অমিডন ওষুধ খেলে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয় কিন্তু
    অনেকেই জানেন না কি কি সমস্যা সমাধান হয়। তাই আপনারা যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ
    সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও এই আর্টিকেলে
    অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে বলা হয়েছে। তাই আপনারা যারা এই
    সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে চান তারা অবশ্যই হাতে পাঁচ মিনিট দশ মিনিট সময়
    নিয়ে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সমস্ত
    বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
  
  গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্রণের সমস্যা
    গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি প্রথম তিন মাস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ গর্ভাবস্থায়
    প্রথম তিন মাসে ব্রণটি তৈরি হয় সেজন্য কোনো ধরণের ঔষধ না খাওয়াই ভালো। অবশ্যই
    চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। আর স্তনদানকালে এটি ব্যবহার করা খুবই ভালো।
    কারণ বুকের দুধ বাড়াতে এটি বেশ ভালো সাহায্য করে।
  
  
    তবে এই অমিডন ওষুধ বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন নামে আছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে
    দেখা যায় কিছু কিছু কোম্পানির এই অমিডন ওষুধের দাম বেশি নেয়। আবার কিছু কিছু
    কোম্পানির দাম কম নেয়। যেমন স্কয়ার কোম্পানির ৩ টাকা ৫০ পয়সা করে প্রতি
    ট্যাবলেট এর দাম নেয়। আবার ইনসেপ্টা কম্পানিতে ৩ টাকা করে। ইনসেপ্টা
    কম্পানিতে২০২৩ সালে ৩ টাকা দাম। 
  
  
  
    তবে এখন বর্তমান ২০২৪ সালে ইনসেপ্টা কম্পানিতে ৩ টাকা ৫০ পয়সা করে প্রতি
    ট্যাবলেট এর দাম নেয়। আপনার চাইলে বাচ্চাদের দিতে পারেন সিরাপ আকারে অথবা ড্রপ
    আকারেও দুটোই পাবেন। আশা করি গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্রণের সমস্যা
    সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
  
  অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ
    সাধারণত অমিডন সিরাপ ছোট বাচ্চাদের দেওয়া হয়ে থাকে। আবার অমিডন ট্যাবলেট
    বড়দের ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়। এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেক
    সাহায্য করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের পেটের কোন সমস্যা হয়ে থাকলে এই সিরাপ
    খাওয়ালে ঠিক হয়ে যায়। এছাড়াও বড়রা যদি অমিডন ট্যাবলেট না খেতে পারে
    সেক্ষেত্রে অমিডন সিরাপ খেতে পারবেন। 
  
  
    সাধারণত বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব, খাওয়ার অরুচি, পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে
    আসা, অজীর্ণ রোগ ইত্যাদির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সুতরাং এই ওষুধটি
    ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই জন্যই ভালো। তাই উক্ত সমস্যাগুলো আপনার যদি হয়ে
    থাকে তাহলে অমিডন ট্যাবলেট বা সিরাপ খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পারছেন অমিডন
    সিরাপ কিসের ঔষধ। চলুন এবার জেনে নিন অমিডন খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে।
  
  অমিডন খেলে কি মোটা হয়
      আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অমিডন খেলে কি মোটা হয় এই প্রশ্ন করে
      থাকেন। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাদের বলব অমিডন ট্যাবলেট বা সিরাপ
      খেলে মোটা হয় না। এটি সাধারণত পেটের গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার সমাধানে
      ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ওষুধটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য
      করে। এটি খেলে মোটা হওয়া যায় না। 
    
    
    
      এই অমিডন ওষুধ খেলে খাবারের রুচি বাড়ে এছাড়াও এই ওষুধ বুক জ্বালা, ঢেকুর
      তোলা, পেট ব্যথা সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারে। তাই এই ওষুধটি খেলে কোন মোটা
      হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া এই ওষুধ হজমের সমস্যা ও বমি বমি ভাব দূর করতে
      ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এই ওষুধটি খেলে মোটা হওয়া যায় না। আশা করি অমিডন
      খেলে কি মোটা হয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।      
    
  অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা
  আজকে যে মেডিসিনটা নিয়ে কথা বলবো সেটি অনেকের অনেকের কাছেই পরিচিত একটি মেডিসিন।
  অনেকে নাম জানেন তবে খেলে কি কি উপকার হবে সেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই
  আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
  আলোচনা করব তাই আপনারা হাতে ৫ মিনিট নিয়ে এই আর্টিকেলের অংশটুকু সম্পূর্ণ পড়ুন
  আশা করি এ আর্টিকেলের অংশটুকু পড়ে আপনি খুব সহজেই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা
  সম্পর্কে জেনে যাবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
  এই অমিডন ট্যাবলেট বা সিরাপ বা ড্রপ এটি প্রস্তুতকারক ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস
  লিমিটেড অমিডন ট্যাবলেট কি? এইকম প্রশ্ন মনে আসতেই পারে স্বাভাবিক। অমিডন
  ট্যাবলেট কি হচ্ছে জেনেরিক নেম ডোমপেরিডন ম্যালিয়াট (Generic name Domperidone
  Maleate)। এই ডমপেরিডন বা অমিডন ট্যাবলেটটি সিরাপ আকারে আছে বা ড্রপ আকারেও
  আপনারা ফার্মেসীগুলোতে পেয়ে যাবেন। অমিডন ডমপেরিডন প্রতি ট্যাবলেটের দাম ৩ টাকা
  করে।
  এই অমিডন ট্যাবলেট এর কাজ হচ্ছে পেট ফাঁপা, পেট ভরা ভরা, পেটের উপরের অংশে
  ব্যাথা, ঢেঁকুর তোলা, অল্প খাদ্যের তুষ্টি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, খাওয়ার
  অরুচি, পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে আসা, বুক জ্বলা বা বুক জ্বলা অনুভূতি, আলসার
  বিহীন অজীর্ণ রোগ এই সকল। অনেকেই এটি বমির ঔষধ নামের পরিচিত। আসলে এটি আরও কয়েটি
  কাজ করে সেটা অনেকে জানেন না। এটি গ্যাস্ট্রিকের ও কাজ করে, আপনার খাওয়ার অরুচি
  বা স্বাস্থ্যহীনতা, পেট ফাঁপা, পেট ফুলে যাওয়া এগুলোর কাজ করে। তো এইসব
  বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
  তবে আমি প্রথমেই বলে দেই এটা প্রাপ্তবয়স্কদের খাওয়ার ডোজ। ১টি অথবা ২টি করে
  দিনে ৩বার প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর। তবে খাওয়ার ৩০ মিনিট বা আধা-ঘন্টা আগে
  ওষুধটি খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ মিলি সাসপেনশন
  প্রতি ১০ কিলোগ্রাম অথবা ০.৪ থেকে ০.৮ মিলি প্রতি দ্রপস ১০ কিলোগ্রাম শরীরের ওজন
  অনুসারে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সিরাপও আছে আবার
  ড্রপও আছে আর বড়দের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অমিডন বা ডমপেরিডন ১০
  মিলিগ্রাম হয়।
  তবে এটি সাপোজিটরি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ফার্মেসিগুলোতে আপনারা খজ
  করলে সাপোজিটরি পেয়ে যাবেন। সবার কাছেই পরিচিত একটি মেডিসিন অমিডন। যারা মুখে
  খেতে পারে না তাদের জন্য এটা সাপোজিটরি হিসেবে দেওয়া হয় পায়খানার রাস্তায় বা
  বায়ুপথে। এই ডমপেরিডন বা অমিডনের একটি বিরাট ফেসিলিটি আছে। 
  যেমন কোনো মা যদি তার বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করান যদি দুগ্ধ পরিমাণ কম থাকে তাহলে এই
  অমিডন একটা করে ৩বার যদি ১ থেকে ২ মাস খাওয়ানো যায় তাহলে মায়ের অবশ্যই দুগ্ধ
  নিঃসরণ হবে এবং প্রোলাক্টিনের মাত্রাটা বৃদ্ধি হবে। অনেক গাইনি ডাক্তার আছেন তারা
  এই ওষুধটি দুধ বাড়ার জন্য দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যাদের হজমের সমস্যা, খাওয়ার
  পরে বমি বমি ভাব বা বদহজম হয় তাদের জন্য এই ওষুধ খুবই উপকারী।
অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  আমরা কমবেশি সবাই অমিডন ওষুধের কাজ কি জানে তবে এর চেয়ে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
  রয়েছে সেটা অনেকেই জানেনা তাই আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে অমিডন এর পার্শ্ব
  প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনারা যারা সম্পর্কে জানেন না তারা
  আর্টিকেলের অংশটুকু ধৈর্য সহকারে পড়ুন তাহলে আশা করি জেনে যাবেন।
  এটার ক্ষতিকর প্রভাব কি তা অনেকেই জানেন না তাই আজকে অমিডন এর পার্শ্ব
  প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব। ডমপেরিডন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে
  ডমপেরিডান বা অমিডন রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তুলতে পারে ঠিক এই
  কারণে দুগ্ধ নিঃসরণ বা স্তনের সাইজ বেড়ে যেতে পারে। তাই বুঝে শুনে ওষুধ খাওয়া
  প্রয়োজন। ডমপেরিডন বা অমিডন ওষুধ সেবন করার কারণে মুখের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
  মাথা ব্যাথা হতে পারে, পাতলা পায়খানা হতে পারে, নার্ভাস ভাব হতে পারে, ঝিমুনি
  সমস্যা হতে পারে, পিপাসা লাগতে পারে, ত্বকের লালচে ভাব ও চুলকানি হতে পারে। এগুলো
  ক্লিনিকাল পরীক্ষায় দেখা গেছে। তাই যারা এই অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  সম্পর্কে জানেন না তারা খাওয়ার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
শেষ কথা
    প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি অমিডন খেলে কি মোটা হয় এবং অমিডন
    ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
    আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার
    করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে
    পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
  
  
    এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
    পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
    যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
  

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url