মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
  মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ, সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কারণ
  অনেকেই আরবি জানেন না। তাই তাদের উদ্দেশ্যেই তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি বাংলা
  উচ্চারণ জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই দেরি না করে আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা
  করুন।
  যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে, নফল নামাজের নিয়ত আরবিতে
  বাংলা উচ্চারণ, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও কিভাবে পড়তে হয়, তাহাজ্জুদ নামাজ
  সুন্নত নাকি নফল, তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, তাহাজ্জুদ নামাজের কত রাকাত, তাহাজ্জুদ
  নামাজের ফজিলত, সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। পেজ সূচীপত্র
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
  রমজান মাস হল নিজের গুনাহ মাপের মাস। এই রমজান মাসে অনেক মহিলারা তাহাজ্জুদ
  নামাজের নিয়ত করে থাকেন। কিন্তু অনেকে কোরআন শরীফ পড়া জানেন আবার অনেকেই করা
  জানেন না।
  বিশেষ করে যে সকল মহিলারা কোরআন শরীফ পড়া জানেন না তাদের একটু আরবি ভাষাই
  তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে কষ্ট হয়। তাই তাদের উদ্দেশ্যে মহিলাদের তাহাজ্জুদ
  নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ’ সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। 
  আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের
  শুধু যে বাংলায় বলা হবে তা নয় এখানে আপনি আরবিতেও জেনে যাবেন। সেক্ষেত্রে সকল
  মহিলাদের কাছে একটাই অনুরোধ রইল তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক বাংলা উচ্চারণ জেনে
  নিন। 
  যাতে করে আপনারা সকলেই সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে পারেন এবং সঠিকভাবে
  নামাজ আদায় করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  আপনাদের সুবিধার্থে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তকে ৩টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে
    সেগুলো হলঃ-
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তের বাংলা অর্থ
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি
  ﻧَﻮَﺍﻳْﺖُ ﺍَﻥْ ﺍُﺻَﻠِّﻰَ ﻟِﻠَّّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻰْ ﺻَﻠَﻮﺓِ ﺍﻟﺘَّﻬَﺠُّﺪِ
  ﺳُﻨَّﺔُ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻣُﺘَﻮَﺟِّﻬًﺎ ﺍِﻟَﻰ ﺟِﻬَﺔِ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﺔِ
  ﺍﻟﺸَّﺮِﻳْﻔَﺔِ ﺍَﻟﻠَّﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ
  নাওয়াইতু আন, উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা, রাকা’আতাই সালাতিল, তাহাজ্জুদী
  সুন্নাতু, রাসূলিল্লাহি তা’আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল, কাবাতিশ শারীফাতি,
  আল্লাহু আকবার।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তের বাংলা অর্থ
  বাংলা অর্থঃ আমি কিবলামুখী হয়ে-আল্লাহর
  উদ্দেশ্যে-দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি, “আল্লাহু আকবার”
  উপরে উল্লেখিত যে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত দেয়া হয়েছে সেগুলো ছেলে, মেয়ে উভয়
  করতে পারবে। আশা করি আপনি সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ
  ধারণা পেয়ে গেছেন। 
  যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের কত রাকাত,
  তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও কিভাবে পড়তে হয় সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
নফল নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ
  নফল নামাজগুলো মূলত অধিকাংশই সুন্নত নামাজ। তাই এই নফল নামাজের নিয়তকে সুন্নত
  বলা যাবে। আবার নফল বললেও সমস্যা নেই। যদি আপনারা নফল নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা
  উচ্চারণ জানতে চান, 
  সে ক্ষেত্রে সুন্নত বা নফল কোন কিছু না বলে সরাসরি তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে আরম্ভ
  করলেও কোনরকম সমস্যা হবে না। যেহেতু আপনাদের মধ্যে অনেকেই নফল নামাজের নিয়ত
  আরবিতে উচ্চারণ করতে পারেন না। 
  সেহেতু তাদের উদ্দেশ্যে নফল নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানিয়ে
  দেওয়া হবে। আপনারা আরবিতে বাংলা নিয়ত করলেও সহীহ শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে পড়তে
  হবে। তাই বুঝেশুনে উচ্চারণ করাটাই উত্তম।
  আরবিতে বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান
  উসাল্লিয়া-লিল্লাহি তা'আলা, রাকাআতি ছালাতিল নফলি, মোতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা
  বাতিশ শারীফাতি-আল্লাহু আকবার।
  বাংলা অর্থঃ আমি কিবলা মুখী হয়ে-আল্লাহর
  উদ্দেশ্যে দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি, ‘আল্লাহ আকবার’।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও কিভাবে পড়তে হয়
  যদি আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও কিভাবে পড়তে হয়, এ বিষয়টি সম্পর্কে
  জানতে চান তাহলে এই আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজের
  সংশ্লিষ্ট যে বিষয়গুলো রয়েছে তা বিস্তারিত এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই
  আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
  তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হলে নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। যেহেতু তাহাজ্জুদ
  নামাজটি নফল নামাজ সেহেতু নফল নামাজের নিয়ত করলে কোনরকম সমস্যা হবে না। 
  তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে বলতে হবে- আমি দুই রাকাত
  তাহাজ্জুদ নামাজ ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহু আকবার। এভাবে নিয়ত করলেই হয়ে
  যাবে।
  আর যারা আরবিতে পারেন তারা আরবিতে নিয়ত করবেন। نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ
  رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন-উসাল্লিয়া
  রাকআতাইত-তাহাজ্জুদি ‘আল্লাহু আকবার’। 
  বাংলা অর্থ: দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি, ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে
  নামাজ পড়া শুরু করবেন। আর যদি আপনারা আরবিতে নিয়োগ করতে না পারেন তাহলে কোন
  সমস্যা নেই। বাংলায় নিয়ত করলেই আল্লাহতালা কবুল করে নিবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
  তাহাজ্জুদ নামাজ মূলত দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। কারণ রাসূলুল্লাহ
  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করতেন। তিনি লম্বা
  ফেরাতে নামাজ আদায় করতেন। 
তাই যেহেতু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণী সেহেতু
  আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিয়ম-নীতি পালন করতে
  হবে। 
  সেক্ষেত্রে লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে যারা লম্বা কেরাতে
  নামাজ আদায় করতে পারেন না, তারা যে কোন সূরা দিয়েই নামাজ আদায় করতে পারবেন। আশা করি মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
  মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম পুরুষের মতোই। এই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের
  ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নামাজের তেমন কোন পার্থক্য নেই দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট
  আট রাকাত নামাজ আদায় করা সব থেকে ভালো। 
  যদি আপনার হাতে সময় না থাকে তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে
  পারবেন। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হলে আপনাকে
  সর্বনিম্ন দুই রাকাত নামাজ থেকে শুরু করতে হবে. 
  তার ঊর্ধ্বে যদি আরো রাকাত পড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনার জন্যই ভালো। প্রিয় নবী
  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ মিনিমাম ৮ রাকাত
  আদায় করতেন। তবে আট রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম ঠিকই কিন্তু এটি
  বাধ্যতামূলক নয়। তাই আপনি যতটুকু পারবেন আদায় করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
  তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল? এই বিষয়টি জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ
  করেছেন। মূলত এই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা নফল। কারণ বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণনা
  এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ ৪
  রাকাত পড়তেন, 
  আবার কখনো ৬ রাকাত পড়তেন, আবার তিনি কখনো কখনো ৮ রাকাত পড়তেন। আরও জানা যায়
  তিনি কখনো ১০ রাকাতও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।
  আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত এসেছে যে, তিনি হযরত আয়েশা (রা.) কে
  জিজ্ঞেস করেন যে, রমজান মাসে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
  সালামের নামাজ কেমন হতো?
   তিনি এক কথায় উত্তর দিয়ে বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের
  বাইরে ১১ রাকাতের বেশি নামাজ আদায় করতেন না। প্রথম অবস্থায় চার রাকাত নামাজ
  আদায় করতেন, 
  এরপর আরো চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন, সবশেষে তিনি তিন রাকাত বেতন নামাজ পড়তেন।
  (সহিহ বুখারি ১/১৫৪)
  আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কায়েস বলেন যে, আমি হজরত আয়েশা (রা.) এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম
  যে, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিতরের নামাজ কত
  রাকাত পড়তেন? 
  তিনি এক কথায় উত্তর দিয়ে বলেন যে, ০৪ এবং ০৩, ০৬ এবং ০৩, ০৮ এবং ০৩, ১০ এবং ০৩।
  রাসূলুল্লাহ (সা.) বিতরের সাত রাকাতের কম এবং ১৩ রাকাতের অধিক নামাজ আদায় করতেন
  না। (সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩)
  হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী তাহাজ্জুদের নামাজ মূলত ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া প্রিয় নবী
  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হলেও এর চেয়ে বেশি পড়তে কখনোই
  বাধা দেননি, কেননা তাহাজ্জুদ নামাজ হল নফল ইবাদত তাই যে যত বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ
  আদায় করতে পারবেন সে ততো বেশি সওয়াব আদায় করতে পারবেন। 
   আবার চার রাকাতের কম তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যাবে না বিষয়টি এমন নয়।
  আপনি চাইলে আপনার সুবিধা অনুযায়ী সব কমপক্ষে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়
  করলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই। 
  আশা করি মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ এবং নফল নামাজের নিয়ত
  আরবিতে বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
  তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
  প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সম্পর্কে জানেন না, তাদের কোন
  চিন্তার কারণ নেই। আপনাদের সুবিধার্থে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম-কানুন সবকিছু
  বিস্তারিত এই আলোচনার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা
  যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তারা অবশ্যই এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে
  পড়ুন।
  তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে যদি আপনি ঘুম থেকে জেগে
  উঠতে না পারেন বা সম্ভাবনা নেই তাহলে আপনি এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত এবং
  বিতরের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নেয়া জায়েজ আছে। 
  তবে আপনি চাইলে এই তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বনিম্ন দুই রাকাত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ
  ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারবেন। কারণ ১২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উত্তম। 
  তবে আপনি যদি এর থেকে আরও বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান, তাহলে এটি জায়েজ আছে।
  এরপর আপনি বিতর নামাজ পড়ে, নামাজ সম্পন্ন করে বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
  প্রথমে আপনাকে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও
  লম্বা সেজদা করতে হবে। কারণ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
  ওয়াসাল্লাম লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। 
  ঠিক সে কারণেই লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে আপনি না পারলে যে কোন
  সূরা মিল করে পড়তে পারবেন। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে।
  তবে কেউ যদি আস্তে আস্তে অর্থাৎ মনে মনে পড়তে চান তাহলে করতে পারবেন। 
  তবে একটি বিষয় অবশ্যই জানা গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়
  মাঝেমধ্যে জামাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া জায়েজ আছে, তবে নিয়মিত নয়। বিষয়টি
  মাথায় রাখবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের কত রাকাত
  তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই রাকাত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১২
  রাকাত পড়া উত্তম। তবে যদি আপনারা এর থেকেও বেশি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন
  তাহলে জায়েজ আছে। এরপরে আপনি বিতর নামাজ আদায় করবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
  তাহাজ্জুদ নামাজ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ব্যক্তি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়
  করেন এবং নামাজ শেষ করে দোয়া করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার সকল দোয়াগুলো কবুল
  করেন। (আমিন) 
  শুধু তাই নয় তাহাজ্জুদ নামাজটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ, যে সকল
  ব্যক্তিরা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন আল্লাহতালা সে সকল ব্যাক্তিদের উপর শান্তি
  বর্ষণ করেন। শুধু তাই নয় এই তাহাজ্জত নামাজ পাপ মুছে দেওয়ার একটি নামাজ। 
  কোন ব্যক্তি যদি অনেক বেশি পাপ করে থাকেন তাহলে এই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে
  আল্লাহ তায়ালার কাছে পাপ থেকে মুক্তি চাইলে আল্লাহ তায়ালা তার সকল পাপগুলো মাফ
  করে দেয়।
  এছাড়াও এই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে দোয়া কবুল হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ তায়ালা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে চলে
  আসেন এবং আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন তোমরা কে কোথায় আছো, দোয়া
  করো আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো, 
  তোমরা কে আছো, আমার কাছে তোমাদের প্রয়োজনীয় কিছু চাও যেগুলো আমি তোমাকে দান
  করব, এছাড়াও তোমরা কে আছো, যারা পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে আছো আজকে তারা ক্ষমা চাও
  আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেবো। (বুখারি: ১১৪৫)
  তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে
  মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং জান্নাত লাভ করার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই তাহাজ্জুদ
  নামাজকে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া আমাদের মুসলমান ভাইদের জন্য কর্তব্য।
শেষ কথাঃ মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
  সম্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা আশা করি আপনারা সকলে মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের
  নিয়ত এবং নফল নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
  পেরেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ তাই এই নামাজটার
  গুরুত্ব প্রত্যেকটা মুসলমানদের দেওয়া কর্তব্য। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি
  পড়ে তাহাজ্জুদ নামাজের সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 
  আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অন্যদেরও উপকৃত হওয়ার জন্য
  শেয়ার করে দিবেন। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে
  অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। আমরা যত সম্ভব আপনার মূল্যবান মতামতের উত্তরটা
  চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।



এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url