সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন? বিস্তারিত জেনে নিন
  সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন? এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা
  থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই রয়েছে যারা জানতে চায়
  পৃথিবীতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন রয়েছে কিন্তু অনেকেরই এই বিষয়ে তেমন
  কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে আমি এই বিষয়ে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই
  আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ
  বাংলাদেশের অবস্থান কত তম, কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি?,
  ফ্রিল্যান্সিং এ নারী পুরুষের শতকরা হার কত?, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের বেতন
  কিভাবে পাওয়া যায়?, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
  বর্তমানে সারা বিশ্বে অনেক ফিনান্সার রয়েছে কিন্তু অনেকেই জানে না যে বাংলাদেশের
  ফ্রিল্যান্সারের শতকরা কতজন বিশ্বের মধ্যে রয়েছে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে
  সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন? রয়েছে এবং ফ্রিল্যান্সিং এ
  বাংলাদেশের অবস্থান কত তম এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই
  আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে
  পড়বেন। কারণ এই আর্টিকেলে যে সমস্ত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে এই সমস্ত
  বিষয়গুলো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে একজন ফ্রিল্যান্সারের জানা অত্যন্ত
  গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা করি এ বিষয়গুলো আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন
  তাহলে আর দেরি না করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
ফ্রিল্যান্সিং এ নারী পুরুষের শতকরা হার কত?
  বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। এখন
  নারী-পুরুষ উভয়েই চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুকছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১১ শতাংশ অর্থাৎ ৭১ হাজার
  ৫০০ নারী ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করছেন এবং বাকি সব ছেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ
  করছেন। 
  তবে আগের তুলনায় অনেক গুণ বেশি নারীসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। দেশজুড়ে তথ্য
  প্রযুক্তি সেবা যতদিন বৃদ্ধি হচ্ছে আস্তে আস্তে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি
  হচ্ছে। অনেক বেকারত্ব নারীরা এখন বর্তমানে ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ
  টাকা ইনকাম করছেন। বর্তমান সময়ে চাকরির সুযোগ কমে এলেও ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই
  কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং অন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
  এক ডেটা বিশ্লেষণের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন বর্তমানে যতদিন যাবে ঠিক ততদিন
  ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা আরো বেশি বৃদ্ধি হবে। এতে করে নারী ও পুরুষ উভয়েরই
  বেকারত্ব দূর হবে। আস্তে আস্তে তথ্য প্রযুক্তি এমন এক পর্যায়ে যাচ্ছে যেখানে
  ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা আরো বৃদ্ধি হতে চলেছে। তথ্য প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রী
  জুনায়েদ আহমেদ বলেন যে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিক থেকে বাংলাদেশের
  অবস্থান বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়তম। 
  সারা বিশ্বে ৫৮% নারী ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করছেন। তার মধ্যে ১১ শতাংশই
  বাংলাদেশের। এ সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার জন্য আরো বেশি অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করে
  যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এখন
  একটি বিশাল জগৎ। দিন দিন বিভিন্ন ইন্টারনেটে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে যেগুলোর
  মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয় টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন
  পেশা যেখানে কেউ কিছু বলার থাকবে না নিজের ইচ্ছা মত কাজ করে নিজের ইনকাম বৃদ্ধি
  করতে পারবেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের বেতন কিভাবে পাওয়া যায়?
  আজকে আমরা এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের বেতন কিভাবে
  পাওয়া যায়? এই বিষয়ে আলোচনা করব। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা এ
  বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাই যারা জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট। আশা করি এ
  বিষয়টি সম্পর্কে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা জানলে অনেক উপকৃত হবে চলুন তাহলে আর দেরি
  না করে জেনে নিন।
  একজন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন উপায়ে তাদের বেতন পেতে পারে। এটা
  সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশী ফ্রিলেন্সাররা অনলাইন পেমেন্ট
  প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে তাদের বেতন নিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ PayPal থেকে নেয়। কারণ
  এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম।
  যেখানে শুধু বাংলাদেশী নয় কম বেশি সকল ফ্রিল্যান্সার পেপাল থেকে পেমেন্ট নিয়ে
  থাকেন। এছাড়াও আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ
  করে দেয় সেটি হচ্ছে Payoneer. এছাড়াও আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন-
  Skrill, Stripe ইত্যাদি।
কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি?
    বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কথাটি আমাদের কম বেশি সকলেই কাছে পরিচিত।
    ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি সেক্টর যেখানে মানুষ তার নিজের স্কিল কাজে লাগিয়ে
    নিজের ইচ্ছা স্বাধীনভাবে কাজ করে লক্ষ লক্ষ আয় করে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই
    বিভিন্ন চাকরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং এ সময় দিচ্ছে। আবার কিছু কিছু
    মানুষ রয়েছে যারা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময় বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে
    টাকা ইনকাম করছেন। 
  
  
    আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে করতে পারবেন। তার জন্য
    আপনার কিছু স্কিল দরকার পড়বে। বর্তমানে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে
    বেশি? এইটা আপনাকে জানতে হবে। কারণ এখন কাজ শিখতে গেলে সেই কাজগুলো শিখতে হবে
    যে কাজগুলো মার্কেটপ্লেসে চাহিদা অনেক বেশি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে
    নিন কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি?
  
  
    বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ৭ রকম কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে
      যেমনঃ-
  
  - ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- গেইম ডেভেলপমেন্ট
- 2D কার্টুন অ্যানিমেশন
- Ui / Ux ডিজাইন
    ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল
    টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভিস বা প্রোডাক্ট মার্কেটিং
    করা। সহজভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট গুলোর
    বিজ্ঞাপন প্রচার করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উৎপত্তি হয় ১৯৯০ সালে। 
  
  
    ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক
    মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও CPA মার্কেটিং সহ
    ইত্যাদি প্লাটফর্ম এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে। বর্তমান সময়ে
    ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি যার কারণে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে
    লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। 
  
  
  
    বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেয়। তবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের থেকে
    ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করা অনেক সহজ। এখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের
    পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করতে পারবেন এমন নয়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও
    ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাগুলো অনেক বেশি রয়েছে যেমন- SEO বা সার্চ ইঞ্জিন
    অক্টোমাইজেশন। 
  
  
    এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হন তাহলে আপনি
    Upwork কিংবা Fiver প্রোফাইল খুলে সেখানে সুন্দর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
    তারপর আপনার পোর্টফোলিও দেখে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এসে আপনাকে নক দিয়ে কাজ দেবে।
    যে কাজের পরিমাণ প্রতি ঘন্টায় 70 থেকে 100 ডলারের উপরে হতে পারে। 
  
  
    সুতরাং বুঝতেই পারছেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কত বেশি মার্কেটপ্লেসে
    রয়েছে। এছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটে কাজ করে প্রতিদিন
    মানুষকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে আপনার একটু ব্লগ
    ওয়েবসাইটে ইনকাম কম আসবে কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা শুরু
    করতে পারবেন। আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।
  
  
    ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি
    প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অনেকেই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করছেন। যেমন-
    Upwork, fiber, freelaner.com ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব
    ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট এর কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে যার কারণে বাংলাদেশের
    লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম
    করছে। 
  
  
  
    তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে হলে আপনাকে ধৈর্য সময় এবং পরিশ্রম করতে হবে। কারণ
    এই সেক্টরে সবাই আসতে পারে না। এখানে দুই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় একটি
    হচ্ছে কোডিং দিয়ে আরেকটা হচ্ছে কোডিং ছাড়া। কোডিং ছাড়া যে ওয়েবসাইট সেটি
    হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরুতে অনেক কঠিন
    মনে হবে কিন্তু যখন আপনি আস্তে আস্তে এই কাজটি করতে থাকবেন তখন আপনার কাছে এ
    কাজটি অনেক সহজ মনে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
  
  
    গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এটির নাম কম বেশি সকলের কাছেই
    পরিচিত। বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনেকেই হাজার ডলার ইনকাম করছেন।
    আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ শিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে
    Upwork, fiber, freelaner.com অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সে একাউন্টে
    গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সুদর্শন পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে এবং আপনার
    ব্যক্তিগত সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। 
  
  
    তারপর আপনার সেই পোর্টফোলিও দেখে বিভিন্ন ক্লাইন্ট এসে কাজ দেবে। তখন আপনার
    আস্তে আস্তে ভালো ইনকাম শুরু হবে। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা
    অনেক বেশি রয়েছে। প্রায় কম বেশি সকল কোম্পানিরই গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার
    হয়। কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চাইলে পোস্টার তৈরি করতে হয়। বর্তমানে
    ফেসবুক টুইটার ইনস্টল ইউটিউবে যে অ্যাডভার্টাইজ দেখতে পান সে সবই প্রায়
    গ্রাফিক্স ডিজাইন দ্বারা তৈরি করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন গ্রাফিক্স ডিজাইনের
    চাহিদা কতটুকু রয়েছে।
  
  
    মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হলো সেই প্রক্রিয়া
    যার মাধ্যমে স্মার্টফোন, ট্যাবলেটের মতো মোবাইল ডিভাইসের জন্য অ্যাপ্লিকেশন
    তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৬.৯২ বিলিয়ন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার
    করছে, যা জনসংখ্যার ৮৫%। প্রতিদিন নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি হচ্ছে এবং বাজারে
    চাহিদাও বাড়ছে। 
  
  
  
    মোবাইল অ্যাপ ব্যবসা, শিক্ষা, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে
    ব্যবহার করা হচ্ছে। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে ভালো আয়ের সুযোগও রয়েছে।
    আপনি যদি একবার (professional android app developer) হতে পারেন তাহলে আপনাকে
    আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। তারপর থেকে আপনি আপনার নিজের মত করে বিভিন্ন অ্যাপ
    তৈরি করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
  
  
    গেইম ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং
    মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে
    ভিডিও গেমের চাহিদা। কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে গেম খেলে না এরকম মানুষ খুব কমই
    পাওয়া যাবে। ছোট থেকে বড় সকল মানুষ প্রায় কম বেশি গেম খেলতে পছন্দ করেন। কেউ
    রয়েছে অনেক বেশি খেলে আবার কেউ কেউ রয়েছে বিভিন্ন কাজের ফাঁকে ফাঁকে
    ফেলে। 
  
  
    তাই এমন বিপুল চাহিদার কারণে গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদাও দিন দিন ব্যাপকভাবে
    বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের এই মোবাইল গেমিং
    ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৩ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ প্লেয়ার রয়েছে যারা প্রতিদিন
    বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেম খেলছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন গেমের চাহিদা দিন দিন কি
    হারে বাড়ছে। তাই আপনি যদি গেইম ডেভেলপমেন্ট শিখে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান
    তাহলে এখনি সঠিক সময় করতে পারেন।
  
  
    2D কার্টুন অ্যানিমেশনঃ বর্তমান সময়ে এডমিশন খুব জনপ্রিয় পেয়েছে। যার
    কারণে 2D কার্টুন অ্যানিমেশন শিখতে অনেকেই যাচ্ছে। তবে অবশ্যই একটি বিষয়
    খেয়াল রাখবেন এনিমেশন শুরু করার আগে অ্যাডোবি অ্যানিমেট, আফটার ইফেক্টস
    ইত্যাদি সফটওয়্যার সম্পর্কেখুব ভালোভাবে। এছাড়াও ভালো যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে
    হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই কম্পিউটারে অ্যানিমেশন তৈরি করে মজার মজার ভিডিও তৈরি
    করতে পারবেন। 
  
  
    এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন আসতে পারে এনিমেশন কোথায় শিখব? কিভাবে শিখব? তাহলে
    আমি বলব আপনি আপনার আশেপাশে প্রতিষ্ঠান থাকলে ভর্তি হতে পারেন এবং সেখানে
    অ্যানিমেশনের উপর একটা কোর্স করে নোট পারেন। তবে অবশ্যই google youtube সার্চ
    করে আপনি ভালোভাবে দেখে নিবেন কোন প্রতিষ্ঠান অ্যানিমেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো
    সেখানে আপনি কোর্স করতে পারেন।
  
  
    Ui / Ux ডিজাইনঃ বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে Ui
    / Ux ডিজাইনার হিসেবে অনেকেই কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছেন। তবে এই
    কাজটি করার জন্য আপনার অবশ্যই দক্ষতা প্রয়োজন পড়বে। বর্তমান বিভিন্ন বিজনেস
    এখন মোবাইল কিংবা ওয়েবসাইটে তাদের পণ্যগুলো মার্কেটিং করছে। আর এই মোবাইল
    অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের ডিজাইন করার জন্য Ui / Ux ডিজাইন প্রয়োজন হচ্ছে। 
  
  
  
    এই সেক্টরে আপনি যদি ভালো করে কাজ করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে তিন থেকে পাঁচ
    হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সময়
    ধৈর্য এবং পরিশ্রম দিতে হবে। যদি আপনি মার্কেটপ্লেসে কিছুদিন ভালো সার্ভিস দিতে
    পারেন পরবর্তীতে আপনাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না। এখন আমরা নিচে জেনে নিবো
    সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন? রয়েছে এই সম্পর্কে। 
       
  
সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন?
    সারাবিশ্বে ফ্রিল্যান্সারদের মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, তবে বাংলাদেশী
    ফ্রিল্যান্সার বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
    আইডিএলসি (IDLC) এর তথ্য অনুসারে পৃথিবীতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা ১৬
    শতাংশ রয়েছে। অর্থাৎ গড়ে হিসাব করলে ১০০ জন মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ থেকে ১৭
    জন মানুষ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার পৃথিবীতে মধ্যে রয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ
    সঠিক তা নয়। কারণ এখানে কমবেশি হতে পারে। 
  
  
    তবে বিশ্বের যেগুলো টপ রেটেড (Top Rated) ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের মধ্যে
    বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার ৬৪ শতাংশই রয়েছে। তবে এর মধ্যেও কম বেশি রয়েছে।
    অন্যান্য দেশগুলোর থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবদান অনেক বেশি রয়েছে।
    বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে
    চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। তবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা এবং ইনকাম
    বেশি হলেও তারা অন্যান্য দেশে তুলনায় খুবই কম Hour per Rate নিয়ে
    থাকেন।    
  
  
  
    এছাড়াও স্কিলের দিক থেকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য দেশের থেকে
    তুলনামূলক অনেক পিছিয়ে রয়েছে।তাই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা যদি এই দুই
    সেক্টর উন্নত করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের অবদান আরো অনেক বেশি বেড়ে উঠবে।
    তাহলে বুঝতেই পারছেন সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন?
    রয়েছে।     
  
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
    আজকে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম এই বিষয়ে।
    অনেকেই রয়েছে যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাই যারা জানতে চান তারা
    অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এ বিষয়টি সম্পর্কে
    সঠিক তথ্য আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে
    জেনে নিন।
  
  
    বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ তম। তবে বিশেষজ্ঞ
    ফ্রিল্যান্সাররা বলেন যে ভবিষ্যতে এর অবস্থান আরো উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
    তাছাড়া শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেসের তথ্য অনুযায়ী আমরা যদি চিন্তাভাবনা করে থাকি
    তাহলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো বড় ধরনের অবস্থান
    রয়েছে বলে মনে করা হয়।  
  
  
  
    বর্তমান সময়ে ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার
    হিসেবে রয়েছে। তাই এই ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিজ্ঞ
    যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তারা আরও বেশি অগ্রগতি করছে বিভিন্ন কিল ডেভেলপ
    করছেন। যার কারণে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরো কাছের দিকে
    অবস্থান করবে বলে আশা করা যায়।
  
  লেখকের শেষ কথা | সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন?
      প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি সারাবিশ্বে বাংলাদেশী
      ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন? এবং ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম এই
      সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি
      উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই
      আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি
      না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
    
    
    
      এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
      পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
      জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।  
    
  
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url