সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে জেনে নিন
  সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে এই সম্পর্কে আপনার যদি না
  জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে
  ফ্রিল্যান্সিং এর কত ডলার বাজারে রয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমি এই
  বিষয়ে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি মনোযোগ
  সহকারে পড়ুন।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বিশ্বের কত শতাংশ
  ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে কোন কাজের চাহিদা বেশি?,
  কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়?, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে
  সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
  সারাবিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা এত পরিমান বেড়েছে যে সকলেই এই সেক্টরে আশা
  শুরু করেছে। বর্তমানে অনেকেই চাকরির পিছনে না আসতে ছিলেন করে ঘরে বসেই হাজার
  হাজার টাকা ইনকাম করছেন। তবে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলার বাজারে
  রয়েছে সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। কারণ বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে কত ডলার
  রয়েছে সেটা একজন ফ্রিল্যান্সারের জানা অবশ্যই তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে সারা
  বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে এবং বিশ্বের কত শতাংশ
  ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আপনারা
  যারা এইবিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে
  পড়ুন। আশা করি এইগুলো বিষয় জানলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না
  করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
  ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
  বর্তমান সময়ে কম বেশি সকলের মুখেই এখন ফ্রিল্যান্সিং নাম অনেক জনপ্রিয় হয়ে
  উঠেছে। অনেক তরুণ তরুণীরা যারা বেকার বসে আছে তারা অনেকেই একটি কম্পিউটার কিংবা
  ল্যাপটপ দিয়ে ফ্রান্সিং কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। দিন দিন এই
  ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা আরো অনেক বেশি বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে
  বাড়ছে নতুন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও। 
  কিন্তু যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে
  কোন কাজের চাহিদা বেশি? রয়েছে সেই সম্পর্কেই জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব অনেক
  নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা জানেন না তাই আজকে আমি
  ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৭ টি কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার
  রয়েছে তাদের জন্য আশা করি অনেক উপকৃত হবে এই আর্টিকেলের অংশটুকু। আসন তাহলে আর
  দেরি না করে জেনে নিন।
  ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৭ টি কাজ হলোঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কন্টেন্ট রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- ট্রান্সক্রিপশন
  ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে
  জনপ্রিয় যে কাজগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইনে
  প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ ছাড়া কল্পনা করাই
  যায় না। সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ অত্যন্ত প্রয়োজন এখন বর্তমানে।
  শুধু তাই নয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা প্রচুর
  রয়েছে যেমন এসিও এক্সপার্ট। 
  আপনি যদি এসিও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ রয়েছে
  যেগুলো থেকে আপনি আপনার মত করে কাজ করে হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
  তবে হাজার ডলার ইনকাম করার আগে অবশ্যই এসো এক্সপার্ট হতে হবে। বর্তমান সময়ে ছোট
  বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে চলছে। কারণ তাদের
  প্রতিষ্ঠানের অনলাইন প্রচারণা ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়েই করছে। 
  যার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি
  ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যরিয়ার শুরু করতে চান তাহলে চোখ বন্ধ করেই করতে পারেন।
  এখানে আপনি যদি সময় দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবেন। ডিজিটাল
  মার্কেটিং এর কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে যেমন- SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন,
  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল বা কন্টেন্ট মার্কেটিং,
  ভিডিও সহ ইত্যাদি।
  ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের একটি বড় জায়গা নিয়ে রয়েছে। এখানে বিশেষ করে
  বিভিন্ন প্রোগ্রামিং বিষয়ে কাজ করতে হয়। অর্থাৎ আপনাকে এই কাজগুলো করার জন্য
  HTML, CSS, JavaScript, PHP, পাইথন ইত্যাদি ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তারপর এই
  সেক্টর থেকে ভালো ইনকাম শুরু হয়। 
  এই ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এসে অনেকেই কয়েকদিন কাজ করে পরবর্তীতে এই
  সেক্টর থেকে অন্য সেক্টরে চলে যায়। প্রথমে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট
  করতে হবে। অন্যান্য কাজের থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অনেক কঠিন বললেই চলে। তাই এই
  কাজ করে করতে চাইলে আপনাকে সর্বনিম্ন হাতে এক বছর সময় নিয়ে আসতে হবে এবং সেই এক
  বছর অনেক কষ্ট করে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সবকিছু শিখতে হবে। 
  তারপর আপনি মার্কেটপ্লেসে Upwork কিংবা fiber অথবা freelancer.com এ অ্যাকাউন্ট
  তৈরি করে নিজের সুদর্শন পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজে লাগতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং
  মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা এবং কাজের রেট অনেক বেশি।
  তাই আপনারা যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করছেন তারা অবশ্যই
  এই সেক্টরে কাজ করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 
  ডাটা এন্ট্রিঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে সহজ যদি বলা হয়
  তাহলে তার মধ্যে একটি ডাটা এন্ট্রি। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের তুলনায় এই
  ডাটা এন্ট্রি কাজ করাটা খুবই সহজ বলে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সাররা এই কাজটি করতে
  পছন্দ করেন। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা এই সেক্টর টি বেছে নিয়েছেন। এই
  সেক্টরে বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে যেমন- মাইক্রোসফট এক্সেল, ওয়ার্ডসহ
  বিভিন্ন সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হয়। 
  এ কাজটি যতটা সহজ মনে হয় ততটাও সহজ নয়। কিছু কিছু বিষয়ে যদি দক্ষতা না থাকে
  তাহলে এই কাজে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু যারা সহজ কাজ খুঁজে বেড়ান
  তাদের জন্য এই সেক্টরটি আমার মতে অনেক ভালো একটি সেক্টর হবে। তবে একটি বিষয়
  মাথায় রাখবেন এই সেক্টরে ও কাজের চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তাই নতুনদের
  জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন হয়েই পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
  গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যান্য সেক্টরের মতোই গ্রাফিক্স
  ডিজাইন সবচেয়ে বড় একটি সেক্টর। এখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে
  পারলে আপনি বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি করে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ শিখে সে
  মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ Upwork, Fiber, freelancer.com
  ইত্যাদিতে প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের। 
  আপনি চাইলে এসব মার্কেট থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি গ্রাফিক্স
  ডিজাইন শিখে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তাহলে চোখ বন্ধ করেন নিঃসন্দেহে এই সেক্টরে
  লেগে যান। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে। যার কারণে
  এই সেক্টরে কাজ করতে অনেকেই পছন্দ করছেন। তাই আপনিও যদি তাদের মত কাজ করে
  ক্যরিয়ার করতে চান তাহলে দ্রুত আর দেরি না করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করুন।
  গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে যেমন লোগো ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন,
  বিজ্ঞাপন ডিজাইন, ব্যানার বা পোস্টার ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি।
  কন্টেন্ট রাইটিংঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে কন্টেন্ট
  রাইটিং বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই কাজের চাহিদা এত বেশি যে ছোট বড়
  সবাই এই কাজটি করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে যারা লেখালেখি অনেক পছন্দ করেন তাদের
  জন্য কন্টেন্ট রাইটিং সর্বোচ্চ ভালো একটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বলা যায়।
  তবে এখানেও আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শুধু যে লেখালেখি করলে ইনকাম করতে
  পারবেন তা নয় এখানেও SEO এক্সপার্ট হতে হয়। 
      বিশ্বজুড়ে কনটেন্ট রাইটিং এখন অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি
      এখানে আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
      কারণ ইংরেজি কনটেন্টদের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। আর এখানে ইনকামেও বেশি।
      তাছাড়া কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো হচ্ছে
      আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট রাইটিং সহ
      ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই কাজ করেও আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।  
    
  
  সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক
  বেশি ইনকামের সোর্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার কারণে অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়া
  থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। বিশ্বজুড়ে এখন এই সিস্টেমটি এত বেশি
  জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে সকলেই এই সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করার জন্য ঘুরাঘুরি শুরু
  করে দিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করার জন্য অনেকেরই সময় কিংবা
  জ্ঞান থাকে না। যার কারণে ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো করতে পারেনা। 
  বিভিন্ন কাজ রয়েছে যে কাজগুলো করার জন্য সময় এবং জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।
  সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ ডলার বা তার
  বেশি চার্জ করে থাকেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার
  করে অনেক কাজ রয়েছে যেমন Facebook মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং,
  ম্যানেজমেন্ট সহ ইত্যাদি। তাই আপনার হাতে যদি সময় থাকে এবং আপনি যদি একটু জ্ঞানী
  মানুষ হন তাহলে অবশ্যই এই সেক্টর থেকে ভালো কিছু ইনকাম করতে পারবে।  
  ট্রান্সক্রিপশনঃ এটি হচ্ছে যে সকল ব্যক্তিরা ভাষান্তর কাজে অনেক পারদর্শী
  তাদের জন্য এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা অনেক বেশি ডিমান্ডেবল। বর্তমান সময়ে
  ট্রান্সক্রিপশনের দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক বাড়ছে। তাই যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং
  করতে চান তারা এই ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এখান থেকেও আপনি প্রতি
  মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  তবে এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে ইংরেজি, আরবি, ফ্রেঞ্চ, রুশ, মান্দারিন সহ আরও
  অনেক ভাষার উপর দক্ষতা আনতে হবে। যত বেশি ভাষা জানবেন তত বেশি আপনার ইনকাম বৃদ্ধি
  হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই সেক্টর টা আপনার জন্য কতটা ডিমান্ডেবল সেক্টর। আশা
  করি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে কোন কাজের চাহিদা বেশি? এই সম্পর্কে সঠিকভাবে
  জানতে পেরেছেন। 
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
  আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক
  থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি এই সম্পর্কে। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার
  রয়েছে যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায়। তাই যারা জানেন না তারা আজকের এই
  আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে
  সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি জেনে নিন।
  ফ্রিল্যান্সিংমার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে
  ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ে কাজ খুঁজে পায় এবং কাজদাতারা
  তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে পায়। তবে বর্তমানে
  ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক
  (Upwork)। এখানে অনেক মানুষ কাজ করে এবং ক্লাইন্ট বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকেন।
  আপওয়ার্কের নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা প্রায় ১২ মিলিয়ন। এতে করে আপনি
  নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন আপওয়ার্ক এর জনপ্রিয়তা কতটা বেশি। এর পরেই রয়েছে
  ফাইভার (Fiverr)। এর নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন। বর্তমান
  সময়ে এই দুই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আজকের এই দ্রুত
  পরিবর্তনশীল বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিংদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
  আগের তুলনায় এখন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ওপরে জায়গা করে নিয়েছে।
  এখানে যারা বেকার রয়েছে তারা এসে কাজ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। এই
  ফ্রিল্যান্সিং থাকার কারণে আজকে মানুষের বেকারত্ব অনেক কমে গেছে। তথ্য যোগাযোগ
  প্রযুক্তি যত উন্নত হবে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি হবে। আপওয়ার্কে
  আপনি অনেক ধরণের সুবিধা পাবেন। যা অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে পাবেন না।
  আপওয়ার্কে বড় বড় ক্লায়েন্ট থাকার কারণে তুলনামূলকভাবে সহজেই ফ্রিল্যান্সাররা
  এখানে কাজ পেয়ে থাকে। তাছাড়া এখানে ন্যায্য পারিশ্রমিক, পেমেন্টের নিরাপত্তা,
  ঘন্টা ভিত্তিক কাজ সহ ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়। ঠিক সে জন্যই ফ্রিল্যান্সিংদের
  জন্য আপওয়ার্ক অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আশা করি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক
  থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি সেই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়?
  আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়? এই
  বিষয়ে সঠিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্রিতে
  ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান কিন্তু কিভাবে শিখবেন সে দিকনির্দেশনা না জানার কারণে
  অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং থেকে সরে দাঁড়ান। তাই আজকে আমি সঠিক একটি গাইডলাইন দেওয়ার
  চেষ্টা করব। আপনারা যারা ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তারা অবশ্যই এই
  আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
  ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখা যায় দুটি উপায়ে এক হচ্ছে অনলাইনে ফ্রিতে অপরটি হচ্ছে
  বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে টাকা খরচ করে কোর্স করিয়ে। তবে এইখানে যে বিষয়টি
  নিয়ে কথা হবে সেটি হচ্ছে ফ্রিতে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় এই বিষয়ে। আজকাল
  আমরা অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় দিয়ে
  থাকি। 
  কিন্তু এই সময়টুকু আমরা যদি ইউটিউব কিংবা গুগলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে রিসার্চ
  করি তাহলে কতটা উন্নতির দিকে যাবে একটু চিন্তা করছেন? ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন
  ধরনের কাজ রয়েছে। আপনি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন কোন বিষয়ের উপর সেটা আগে
  নির্ধারণ করতে হবে। অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে চাচ্ছে
  কিন্তু কোন ধরনের কাজ করবেন বা কিভাবে কাজ শিখলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন তা
  নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। 
  তবে এই জন্য সবার আগে আপনার স্থির করতে হবে। তারপর আপনি কোন ধরনের (গ্রাফিক্স
  ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং) কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা ঠিক করুন।
  তারপর আপনার মনকে নিজে নিজেই প্রশ্ন করুন যে আপনি ফ্রিতে শিখবেন না টাকা খরচ করে
  কোর্সে ভর্তি হয়ে শিখবেন। যদি আপনার ফ্রিতে কাজ শেখার ধৈর্য কিংবা সময় থাকে
  তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিতে কাজ শিখতে পারবেন।
  ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে। যে মাধ্যমগুলো
  অবলম্বন করলে আপনি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন খুব সহজেই। তাই আপনি যদি
  মাধ্যমগুলো না জানেন তাহলে অবশ্যই নিচের অংশটুকু থেকে জেনে নিবেন। নিচে আমরা
  মাধ্যমগুলো বিস্তারিতও আলোচনা করেছি। চলুন তাহলে জেনে নিন।
  ১। গুগলে সার্চ করার সময় আপনি কোন গুরুত্ব তথ্য পেলে অবশ্যই সেটা বুক মার্ক করে
  রেখে দিবেন। তাছাড়া সংরক্ষণ করতে পারলে করে নিবেন। এর জন্য আপনাকে পাঁচ থেকে
  দশটি ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। যেখানে আপনার নির্বাচিত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের
  তথ্য রয়েছে এবং সে তথ্যগুলো আপনি সুন্দর করে বিস্তারিত জেনে সেগুলো সংরক্ষণ করে
  রেখে দিন।
  ২। গুগলে সার্চ করার পাশাপাশি আপনি youtube চ্যানেল থেকেও ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং
  শিখতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে পাঁচ থেকে দশটি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করুন।
  যেখানে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালো টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়েছে। তারপর সেখান
  থেকে টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো দেখা শুরু করুন।
  ৩। ইউটিউবের পাশাপাশি আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালো
  তথ্য ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। সেগুলো বুকমার্ক করে রাখুন। পাশাপাশি দুই থেকে পাঁচটি
  গ্রুপের সঙ্গে নিয়মিত সংযুক্ত থাকুন। এতে করে আপনার বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা
  বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা পেয়ে যাবেন।
  ৪। অনলাইনে আপনি ফ্রিতে অনেক বিষয়ে ফ্রিলেন্সিং সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আপনি
  ফ্রিজে ফ্রিলেন্সিং শিখলে অবশ্যই অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে জেনে নিতে হবে।
  ৫। অনলাইনে ফ্রিতে ই-বুক পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে ই-বুক ডাউনলোড করে আপনার
  পছন্দমত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়মিত পড়তে পারবেন। এভাবে
  কমপক্ষে তিন থেকে চার শব্দ আপনাকে সবকিছু জেনে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। তাহলে
  আপনি ভালোভাবে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
  বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে। যার
  কারণে বাজারে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত
  ডলারের বাজার রয়েছে সেটা একেবারে সঠিক বলা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে
  ২০২২ সালে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের আকার ছিল প্রায় ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার। তবে
  এর থেকেও আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি হয়েছে ২০২৩ সালে। 
  ২০২৩ সালে প্রায় ৪.৯৪ বিলিয়ন ডলারের উত্তীর্ণ হয়। তবে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে
  আশা করা যায় যে ২০২৪ সালে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিংয়ে ৫.৮৭ বিলিয়ন ডলারের
  বাজার রয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশা করা হয়।
  এছাড়াও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং আইটি সেন্টার বাজারে অনেক দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি
  পাচ্ছে। 
  যার কারণে ধরা যায় যে ২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাজারে দাঁড়াবে ৬.৮৯
  বিলিয়ন ডলার। এটি মূলত ফ্রিল্যান্সিংদের কাজের চাহিদার উপর অনেক বেশি নির্ভর
  করবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং যে গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০৩০ সালে বিশ্বের
  ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস আরো অনেক গুন ডলারে পরিণত হবে বলে মনে করা
  হয়। 
  মূলত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটা একটি আনপ্রেডিক্টেবল যার কারণে সঠিকভাবে কোন
  সংখ্যাকে ফাইনাল বলে ভেবে নেওয়া একদমই উচিত নয়। তবে বিভিন্ন তথ্য এবং
  পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য গুলোই বলা হয়েছে। আশা করি সারা বিশ্বে
  ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে সেই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের
    বর্তমান সময়ে কতজন শতকরা ফ্রিল্যান্সার হয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না। তথ্য
    যোগাযোগ প্রযুক্তি দিন দিন যত বৃদ্ধি হচ্ছে পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর অগ্রগতিও
    অনেক বেশি বৃদ্ধি হচ্ছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে বাংলাদেশী
    ফ্রিল্যান্সার শতকরা ১৬%। অর্থাৎ গড়ে ১০০ জনের মধ্যে পৃথিবীর মধ্যে প্রায়
    বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ১৬ জন। 
  
  
    এই পরিসংখ্যাটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। তাই এটি সঠিকভাবে ভেবে নাও একদমই
    উচিত নয়। তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য অনুসারে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের
    মধ্যে ৬৪% বাংলাদেশী ফ্রিলান্সার। এটিও সম্পূর্ণভাবে পরবর্তীতে এটিরও কিছু
    ত্রুটি রয়েছে বলে জানান বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
  
  
  
    তবে, আমরা আপওয়ার্ক (UpWork) এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান যুক্ত ওয়েবসাইটগুলো থেকে
    যে বিষয়গুলো জানতে পারি সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের অবদান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
    অনেক বেশি। তাই অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কদর অনেক
    বেশি রয়েছে। বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব
    ডেভেলপমেন্ট সেক্টরগুলোতে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। 
  
  
    তবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এবং ইনকাম বেশি হলেও তাদের অন্যান্য
    দেশের তুলনায় (Hour per Rate) অনেক কম রয়েছে। এছাড়াও অভিজ্ঞতার দিক থেকেও
    তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে রয়েছে পিছিয়ে রয়েছে। তবে
    বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা যদি এই দুইটি সেক্টর উন্নত করতে পারে তাহলে
    পরবর্তীতে বাংলাদেশের অবদান অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। আশা করি
    বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
  
  লেখকের শেষ কথা | সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
      প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত
      ডলারের বাজার রয়েছে এবং বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের এই
      সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি
      উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই
      আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি
      না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
    
    
    
      এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
      পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
      জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
    
  
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url