নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ জেনে নিন

নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ, সম্পর্কে অধিক মানুষেরই অজানা। তাই যারা জানেন না তারা চিন্তা না করে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারেন।
নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ জেনে নিন
এছাড়াও আজকের পোষ্টে নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা পোষ্টটি পড়লে সঠিকটা জানতে পারবেন।.

নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ

বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর অনেক মা-বাবা খেয়াল করলে দেখেন তাদের সন্তানদের ঠোঁট কালো হয়ে যাচ্ছে। এটি মূলত নবজাতকের জন্মের পর ঠোঁট কালো হওয়ার একটি সাধারণ লক্ষণ। মূলত বাচ্চার জন্ম হওয়ার পরপরই ঠোঁট কালো হওয়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। 

কিন্তু কেন নবজাতকের ঠোঁট কালো হয় সেটা কখনো যাচাই-বাছাই করে দেখেছি? হয়তো অনেক মা-বাবাই এ বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের এ বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।
একজন নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে সায়নোসিস (Cyanosis)। বাচ্চার রক্তের অক্সিজেনের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। যার ফলে নবজাতকের ঠোঁট ও ত্বক আস্তে আস্তে কালো হওয়া শুরু করে। আবার অনেক সময় নবজাতকের শরীর বেগুনির হয়ে যেতেও পারে।

শুধু তাই নয় যখন নবজাতক শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় কিংবা হৃৎপিণ্ড সমস্যা হয় বা ফুসফুসের সমস্যা হয় ঠিক তখনই নবজাতকের ভোট ও ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও জন্মগত ভাবেও অনেক বাচ্চাদের ঠোঁট কালো দেখায়, তবে এটি জন্মগতভাবেই হয়ে থাকে।

আবার অন্যদিকে ছোট নবজাতকের যদি প্রচন্ড ঠান্ডা লাগে তাহলেও কিন্তু ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। তার কারণ হলো নবজাতকের যখন অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে ঠিক তখনই শরীরের কিছু বিশেষ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে যেগুলো উষ্ম রাখতে রক্তের প্রভাব দেখা দেয় যার ফলে নবজাতকের ভোট কালো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।

উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে আশা করি নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ কি তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। যদি আপনার শিশুর অস্বাভাবিক ঠোঁট কালো দেখায় তাহলে অবশ্যই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায়

নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায়, সম্পর্কে অনেক মা-বাবার অজানা। তবে এই বিষয়টি জানা একজন মা বাবার দায়িত্ব। বাচ্চার গায়ের রং জানা একজন মা বাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার কারণ এর মাধ্যমে বাচ্চার স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। 

শুধু নবজাতকের গায়ের রং বোঝা যায় না পাশাপাশি নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন এই সম্পর্কেও সঠিক একটি ধারণা পাওয়া যায়। নবজাতকের গায়ের রং বোঝার জন্য কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

যেমন বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর, প্রথম কয়েক দিন লক্ষ্য করলে আপনি খেয়াল করবেন বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন হচ্ছে। এই সময় বাচ্চাদের গায়ের রং বেশিরভাগ পরিবর্তন হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রসবের সময় ও গত কারণ যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন রক্ত চলাচল ইত্যাদি এর পেছনে কারণ হতে পারে।

সাধারণত নবজাতকের গায়ের রং প্রথম এক সপ্তাহ পর থেকে ধীরে ধীরে স্থায়ী হওয়া শুরু করে। তার কারণ হলো এক সপ্তাহ পর আলো ও পরিবেশের প্রভাব নবজাতকের গায়ে পড়ে। নবজাতকের প্রকৃত গায়ের রং বোঝার জন্য তাকে প্রাকৃতিক আলো দেখাতে হবে। 

কৃত্রিম আলো বা কম আলোয় কখনোই নবজাতকের গায়ের রং বোঝা যাবে না। আপনি যদি না বুঝতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করতে পারেন। এছাড়াও নবজাতকের গায়ের রং বুঝতে হলে আপনাকে নবজাতকের হাত মুখ পা এবং পেটের রং আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বাচ্চাদের মুখের ত্বকের সাথে শরীরের ত্বকের অল্প কিছু ভিন্ন হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ মা বাবার জেনেটিক হরমোনের উপর নির্ভর করে। নবজাতকের খুবই পাতলা ও স্বচ্ছ হয়, ফলে তার ভেতরের রক্তনালী গুলো অনেক সময় দেখা যায়। 

যা প্রকৃত রঙ নির্ধারণের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ নবজাতকের গায়ের রং ধীরে ধীরে স্থায়ী রং হয়ে ওঠে।

যদি আপনার মনে হয় নবজাতকের গায়ের রং অস্বাভাবিক, যেমন নীল সেবা ফ্যাকাসে রং অথবা খুব বেশি হলুদ। তখন দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এটি হতে পারে আপনার নবজাতকের অন্তর্নিহিত সমস্যা অর্থাৎ জন্ডিস বা রক্তস্বল্পতা। 

তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সঠিকভাবে নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায়ের মাধ্যমে মা ও বাবা তার ত্বক ও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কারণ সঠিক যত্ন নিলে মা ও শিশু উভয় সুস্থ ও ভালো থাকবে। 

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন এ বিষয়টি সম্পর্কে যারা জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একজন বাচ্চার জন্ম নেওয়ার পর গায়ের রং মূলত তিন রকম ভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে যেমন নীল রং হলুদ রং এবং কালো রং।

একজন শিশু জন্মের পর পরই দেহে মেলালিন (Melanin) নামক একটি উপাদান উৎপাদন কম হয়। যার ফলে নবজাতকের গায়ের রং হালকা হতে দেখা যায়। তবে মেলালিন নামক উপাদানটি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যখন নবজাতক শিশু স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ হয়। 

এর ফলে নবজাতকের গায়ের রং অনেক সময় কালো হয়ে থাকে। এছাড়াও শিশু জন্ম হওয়ার পর যদি জন্ডিস হয় তাহলে শিশুর গায়ের রং হলুদ দেখা যেতে পারে পারে। তবে শিশু যদি সূর্যের আলো সংস্পর্শে আসে তাহলে সেই শিশুর গায়ের রং পরিবর্তন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। 

এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন হতে এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি নিয়ে কখনোই আতঙ্ক বা ভয় পাওয়া উচিত নয়। অনেক বাচ্চারা জন্মের পর পরই কালো হয়ে যায় এটি মূলত বাচ্চার জন্মের ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত হতে পারে। তারপর আবার আস্তে আস্তে বাচ্চার গায়ের রং স্বাভাবিকে ফিরে আসবে।

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হওয়াটা যদি আপনার অস্বাভাবিক মনে হয়, যেমন হলুদ রং অথবা অন্য কোন রং তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন আশা করি আপনার বাচ্চার সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে চিকিৎসা করে যাচাই-বাছাই করে দেখবেন।

আশা করি আপনারা সকলেই নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন নবজাতকের ত্বকের সমস্যা কেন হয় এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।

নবজাতকের ত্বকের সমস্যা

নবজাতকের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে যা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করি। তবে বেশিরভাগ সময় নবজাতক শিশুদের তেমন কোন বড় ধরনের সমস্যা হয় না। 

তবে নবজাতকের ত্বকের ৫ সমস্যা নিয়ে আজকের আর্টিকেলের অংশটুকুতে বিস্তারিতও আলোচনা করবো। তাই আসুন আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
  • নবজাতক যখন প্রথম পৃথিবীতে জন্ম নেয় ঠিক তখন প্রথম এক সপ্তাহের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে নবজাতকের শরীর লাল লাল দানা দেখা যায় এটি মূলত গ্রাম্য এলাকায় মাসি পিসি বলা হয়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর নাম ইরাইথেমা টক্সিকাম নিওনেটোরাম (Erythema toxicum neonatorum)। এটি মূলত হাতমুখ পা এমনকি সারা শরীরে হতে পারে। তবে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই এটি এমনিতেই সেরে যাবে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
  • শিশুর জন্মের পর শরীরে এক থেকে দশটি কালো বা রঙিন জন্ম দাগ থাকতেই পারে এটি অস্বাভাবিক কিছুই নয়। সাধারণত এটি হওয়ার কারণ হচ্ছে গর্ভে থাকার সময় বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে এই দাগগুলো হয়ে থাকে। জন্মের পরপর এই দাগগুলো কয়েক মাস দেখা দিতে পারে এটি নিয়ে তেমন কোন চিন্তার কারণ নেই। প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সত্যিই জন্ম দাগ কিনা তা জেনে নিবেন।
  • অনেক সময় একটু খেয়াল করলে দেখা যায় নবজাতকের ত্বক হালকা পিয়াজের খোসার মতো উঠে আসে এটি কে বলা হয় পিলিং। এটি হওয়ার মূল কারণ ত্বকে শুষ্কতা। নবজাতককে গোসল করানোর পর লোশন কিংবা তেল শরীরে লাগিয়ে দিলে এই ধরনের শুষ্কতা অনেকটা কমে আসে এবং শিশু সুস্থ থাকে।
  • অনেক ছোট শিশুর বা নবজাতকের মুখে ব্রনের মত কিছু দাগ দেখা যায়। তবে এটি তরুণ তরুণীদের ব্রণের মতো নয়। এটি মূলত মায়ের রক্তের হরমোনের প্রভাবেই ব্রণ হয়ে থাকে। এর জন্য চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এটি সেরে যাবে। আবার তোকে সাদা সাদা যে দানা হয় সেটিকে বলা হয় মিলিয়া। এটি দেখা দিলে অস্বাভাবিক হওয়ার কোন কিছু নেই। চিকিৎসা ছাড়াই কয়েক দিনের মধ্যে সেরে উঠবে।
  • অনেক সময় নবজাতককের ডায়াপার সংলগ্ন অংশ লাল হয়ে যায় কিংবা চুলকায় অথবা দানা দানা হয় এটিকে মূলত ডায়াপার রেশ বলা হয়। ডায়াপার ঘন ঘন না পাল্টানোর কারণে এবং খুব শক্ত করে আটকে থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই যদি নবজাতকের শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয় তাহলে ডায়াপার ছাড়া রাখুন। আর খুব বেশি লাল হলে ‘জিংক অক্সাইড ক্রিম’ ব্যবহার করুন। (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)। (চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল)

বাচ্চাদের শরীরে ফোসকা কেন হয়

বাচ্চাদের শরীরে প্রায় সময় ফোসকার মতো রেস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এর মূল কারণ হলো হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (Hand, foot and mouth disease)। এই রোগটি মূলত বেশিরভাগ সময়ই ক্ষুদ্র ভাইরাসের অন্তর্ভুক্ত কিছু আন্ত্রিক ভাইরাসের সংক্রমণে হয়। 

যার মধ্যে এন্টারোভাইরাস-এ ৭১, ককসাকি-এ ১৬, অথবা কিছু ইকো ভাইরাস অন্যতম। বাচ্চাদের শরীরে ফোসকা হওয়া রোগটি ভাইরাস বাহিত রোগ। এ রোগটি খুবই সোয়াচে তবে এর তীব্রতা কম এবং জটিলতা নেই বললেই চলে। 

পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চা থেকে শুরু করে দশ বছর বয়সী বাচ্চাদের এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। তবে এটি মোটামুটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে তারপর আবার আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। 

ছোট বড় সকলেরই এ ধরনের লক্ষণ থাকে তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের এ ধরনের সমস্যা হলে খুবই কষ্টদায়কের মধ্যে থাকে। বাচ্চাদের শরীরে ফোসকা হওয়া অসুখটি একাধিকবার হতে পারে।

বাচ্চাদের রেশ হলে করনীয়

বাচ্চাদের রেশ হলে সুতির কাপড় পড়াতে হবে, যাতে করে পোশাকে বাতাস ঢুকতে পারে। ঢিলা ঢালা পোশাক পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
  • প্রতিদিন শিশুকে গোসল করানোর জন্য সাবান ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ঘন ঘন সাবান ব্যবহারে ফলে শিশু ত্বক রুক্ষ আর খসখসে হয়ে যাবে।
  • অনেক সময় দেখা যায় গরমের সময় বেশি বেশি পাউডার কর লোশন ব্যবহার করে কিন্তু এটি মোটেও করা উচিত নয়।
  • শিশু যেখানে থাকবে সেই জায়গাটা যেন অনেকটা ঠান্ডাও না হয় অথবা গরমও না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • গরমের সময় শিশু ঘেমে গেলে শিশুর ত্বকে যেন ঘাম লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যখনই ঘেমে যাবে সাথে সাথেই শিশুর ত্বক একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে ঘাম মুছে দিতে হবে।
  • হিট র‌্যাশে ত্বকের পিএইচ (PH) ব্যালান্স স্বাভাবিক রাখতে হয়। তাই গরমের সময় মা ও শিশু উভয়কেই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • হিট র‌্যাশে ত্বক তীব্র গরম সহ্য করতে পারে না। তাই অতিরিক্ত রোদ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
  • শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান এবং পরিষ্কার রাখুন। অকারণে কখনোই শিশুকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন না।
  • যদি পারেন তাহলে পরিষ্কার ত্বকে শসার পেস্ট বরফ করে সেটি শরীরে ভালোভাবে ঘষতে পারেন। মিনিমাম ৫ থেকে ১০ মিনিট শরীরে রস রাখার পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এইভাবে প্রতিদিন শসার পেস্ট ব্যবহার করলে হিট র‌্যাশ থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
  • আশা করি নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বাচ্চাদের রেশ হলে করনীয় কি তা সঠিকভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

বাচ্চাদের চুলকানির ক্রিম

বাচ্চাদের চুলকানির ক্রিম আর মধ্যে সব থেকে ভালো ক্রিম হলো 'ক্রোটামিটন লোশন'। এটি আপনার চুলকানি শুষ্ক একজিমা রোদে পোড়া নিটল ফুসকুড়ি এলার্জির ফুসকুড়ি আম্মাড পোকার কামড় সহ ত্বকের জ্বালার জন্য ক্রোটামিটন লোশনটি অনেক বেশি কার্যকরী। 

প্রাপ্তবয়স্ক (বৃদ্ধ সহ) থেকে শুরু করে শিশুরা এই ক্রোটামিটন লোশনটি আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারবেন। ক্রোটামিটন লোশন প্রতিবার ব্যবহার করার সাথে সাথেই আপনাকে ৬ থেকে ১০ ঘন্টা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

ক্রোটামিটন লোশন ব্যবহারের নিয়মঃ-

প্রাপ্তবয়স্ক (বৃদ্ধ সহ): রোগী ভালোভাবে গোসল করার পর সারা শরীর ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ক্রোটামিটন লোশন পুরো শরীরে (মুখ এবং মাথার ত্বক বাদে) লাগাতে হবে। খেয়াল করে দেখতে হবে যতক্ষণ না পুরোপুরি মিলিয়ে যায় ততক্ষণ রেখে দিতে হবে। 

এভাবে ব্যবহার করতে হবে। তবে যখন চিকিৎসা শেষ হয়ে যাবে তখন বিছানা চাদর সহ, কাপড়-চোপড় সবকিছু গরম পানি করে পাউডার ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে হবে এবং আপনাকে গোসল করতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রেঃ প্রাপ্তবয়স্করা যেই প্রয়োগ বিধি অনুসরণ করছেন একইভাবেই শিশুদের ক্ষেত্রেও। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ক্রোটামিটন লোশন দিনে একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। 

আশা করি নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ এবং নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বাচ্চাদের চুলকানির ক্রিম সম্পর্কেও বিস্তারিতও তথ্য জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন, পোস্টটিতে নবজাতকের ঠোট কালো হওয়ার কারণ এবং নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়েছেন সেহেতু আশা করে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন নেই। তবে যদিও গুরুত্বপূর্ণ কথা বা প্রশ্ন জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিবার বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার মত তারাও উপকৃত হন। প্রতিনিয়ত এই ধরনের তথ্য নতুন নতুন পেতে ইমাম ডিজিটাল বিডি ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪