যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে? কুরআন হাদিস কি বলে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকের মূল টপিক হলো যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে? যেনাকারী ব্যক্তির শেষ পরিণতি কি হবে তা আমরা কেউ জানিনা। যেহেতু জানিনা সেহেতু চলুন হাদিস কোরআনের কি বলে তা জেনে নেওয়া যাক।
এছাড়াও আমরা কেউ জানি না যিনা মাফের দোয়া, তাই সকলের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে আশা করি আপনারা সকলেই সঠিক তথ্যগুলো জেনে যাবেন।.
যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে?
যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর একমাত্র আল্লাহ তা'আলা বলতে পারবেন। কারণ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা এবং আমাদের গুনাহ এবং গুনাহ মাফ সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার হাতে। তাই আল্লাহ তাহালা যেনাকারী ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে কিনা তা উনি নির্ধারণ করবেন।
তবে আমরা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি, যদি যেনাকারী ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের মন থেকে ক্ষমার জন্য দোয়া করেন তাহলে আল্লাহ তালা তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
আর যদি সেই যেনাকারী ব্যক্তির দোয়া কবুল না হয় তাহলে জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত হবে। তাই এটি খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা কখনোই দিতে পারব না।
তবে, হাদিস মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি যেনা করেছে বলে প্রমাণ হয়। তাহলে তার ইহকালেই কিছু শাস্তি রয়েছে। যেটা একমাত্র ইসলামিক আদালত তার ওপর প্রয়োগ করতে পারবে।
সেটা হতে পারে সেই ব্যক্তির মৌখিক স্বীকারোক্তি মাধ্যমে অথবা চারজন ব্যক্তির সাক্ষীর মাধ্যমে। তবে সেটি অবশ্যই প্রমাণিত হতে হবে।
আমরা হয়তো অনেকেই একটি কথা জানি আবার জানি না সেটি হল ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জিনাকারী ব্যক্তির যে শাস্তি রয়েছে সেটি হলঃ
- অবিবাহিত ব্যক্তি যদি যেনা করে তাহলে জনসম্মুখে তাকে ১০০টি বেত্রাঘাত করা হবে।
- আর যদি বিবাহিত ব্যক্তি যেনা করে, তাহলে তাকে রজম বা পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।
তবে এই শাস্তিটি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই উপরে যেটা বললাম শর্তটি সঠিক হতে হবে। চারজন ব্যক্তি জেনাকারীর জেনার কাজ দেখেছেন।
এরকম যদি প্রমাণিত হয় তাহলেই সে শাস্তি গুলো প্রযোজ্য হবে। তবে একটি কথা না বললেই নয় সেটি হল যেনার শাস্তির চেয়েও আরো কঠিন হচ্ছে যেনা প্রমাণ করা। আশা করি যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে? এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।
যিনা মাফের দোয়া
আমরা অনেকে ভালো কাজে থেকে খারাপ কাজ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। কিন্তু হাদিস কোরআনে খারাপ কাজ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে এবং ভালো কাজ বেশি বেশি করতে বলেছেন। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তার উল্টোটা হয়।
বিশেষ করে যিনা কাজে অনেক ব্যক্তি নিয়োজিত হন। কিন্তু এই যিনা কাছ থেকে কিভাবে আপনারা আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চাইবেন সেই সকল দোয়া সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা। তাই আসুন যিনা করে আল্লাহ তাআলার কাছে কোন দোয়া পড়লে মাফ পাওয়া যায় তা জেনে নিন।
যিনা মাফের দোয়া
আরবি উচ্চারণঃ رَبِّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ
বাংলা উচ্চারণঃ রব্বি, ইন্নি, জলামতু, নাফসি, ফাগফিরলি।
বাংলা অর্থঃ হে আমার আল্লাহ তাআলা, নিশ্চয় আমি আমার নফ্সের প্রতি যুল্ম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সুরা আল ক্বসাস, আয়াত নাম্বারঃ ১৬)
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা কাজে লিপ্ত হয়েছেন তারা অবশ্যই নামাজ পড়ে এই দোয়াটি পড়ে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে ক্ষমা চাইবেন। নিজের অন্তরের অন্তস্থল থেকে চোখের পানি ঝরিয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন।
যিনা থেকে তওবা করার নিয়ম
যিনা থেকে তাওবা করার নিয়ম হলো, যদি কোন ব্যক্তি যেনা কাজে লিপ্ত হন তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তাওবা করে নেবেন। যেহেতু এই জেনা খুবই বড় একটি অন্যায় সেহেতু অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
কারণ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল। আল্লাহ তায়ালার কাছে চোখের পানি ঝরিয়ে মন থেকে দোয়া করলে অবশ্যই আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন। যদি কোন জেনাকারী ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে এখলাসের সঙ্গে একবার আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ক্ষমা করে দেবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন যে যদি কোন যেনাকারী ব্যক্তি সত্তিকারের অর্থে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার সব গুনাহ মাফ করে দেন। তাই যদি কোন ব্যক্তি সত্যিকার ভাবে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্যই মাফ করে দেবেন।
তবে একটি শর্ত রয়েছে সেটি হলো হলো মনে একটি কথা রেখে মুখে আরেকটি বললে সেটি কখনোই তওবা হবেনা। তওবা শুধু মুখে নয় অন্তরের অন্তরস্থল থেকে বলতে হবে এবং আপনার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
এই পাপ দ্বিতীয় বার করার কথা ভুল করেও মুখে নিয়ে আসা যাবেনা, তাহলেই আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেবেন। তওবা কবুল করার জন্য সব সময় অপেক্ষা করছেন। তাই মন থেকে দোয়া করবেন অবশ্যই মাফ পাবেন। (আল্লাহ ভরসা)
জিনার গুনাহ কি মাফ হয়
জিনার গুনাহ কি মাফ হয়? এই বিষয়টি নিয়ে অনেক মুসলিম ভাইয়েরা প্রশ্ন করেছেন। যেহেতু আপনারা এ বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহ করেছেন সেহেতু আপনাদের জন্যই এই টপিকটি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। জিনার গুনাহ কি মাফ হয়? এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হল হ্যাঁ।
যদি কোন ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে জিনার গুনাহ মাফ চেয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই মাফ করে দিবেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যদি যেনাকারী ব্যক্তি পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ে মন থেকে মাফ চাই তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেবেন। তবে একটি শর্তে মাফ করতে পারে সেটি হল একবার জিনা করে মাফ চেয়ে দ্বিতীয়বার ভুল করেও এই খারাপ কাজ করবেন না।
যেনা করলে কি দোয়া কবুল হয়
যেনা করলে কি দোয়া কবুল হয়? এই কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। যেনা হলো খুবই কঠিন একটি গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করেন না। আল্লাহ তায়ালা বারবার এই জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল মুসলমান ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।
যেনা বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমনঃ চোখের যেনা, মুখের যেনা, জিহ্বার যেনা, হাতের যেনা ইত্যাদি। এছাড়াও নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য কোন মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাকেও যেনা বলা হয়।
তবে জেনাকারীর শাস্তি হলো যারা অবিবাহিত তাদের ১০০ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিতের শাস্তি হচ্ছে রজম করা অর্থাৎ কোমর পর্যন্ত পোতে পাথর মেরে হত্যা করা। এই শাস্তিগুলো কেবলমাত্র দেশের শাসক এবং তার প্রতিনিধিরাই কার্যকর করবেন।
যেনা গুনাহ যেহেতু কাবিরা গুনাহ, সেহেতু এই গুনাহর মাফ আল্লাহ তায়ালা করেন না। তবে যদি জেনাকারি ব্যক্তি ওই কাজ থেকে সারা জীবনের জন্য ফিরে আসার জন্য অনুতপ্ত হন এবং সত্যিকার অর্থে অন্তর থেকে তওবা করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা তার তওবা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
আবার অন্য জায়গায় বর্ণিত রয়েছে, ঈমান থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি ঘৃণা করতে পারে না। সুতরাং যেন কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি ইবাদত করেন তাহলে সেটা কখনোই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
তার কারণ হলো সে সময় সেই ব্যক্তির কোন ঈমান থাকে না। তবে পরবর্তীতে পাক-পবিত্র হয়ে সারা জীবনের জন্য সে কাছ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য অন্তর থেকে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করলে আল্লাহতালা অবশ্যই ক্ষমা করবেন। কারণ আল্লাহতালা ক্ষমাশীল।
যিনা থেকে বাঁচার দোয়া
১) ক্ষমা, অন্তর পবিত্র ও চরিত্র রক্ষার দোয়াঃ-
আরবি উচ্চারণঃ ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﺫَﻧْﺒِﻲ ﻭَﻃَﻬِّﺮْ ﻗَﻠْﺒِﻲ، ﻭَﺣَﺼِّﻦْ ﻓَﺮْﺟِﻲ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফির যাম্বী, ওয়া ত্বহহির ক্বলবী, ওয়া হাছছিন ফারজী।
বাংলা অর্থঃ হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার অন্তরকে পরিষ্কার করুন এবং আমার চরিত্র রক্ষা করুন। (আহমদঃ ২২২১১)
২) খারাপ কিছু না শোনা, দেখা, বলা, দৈহিক কামনা-বাসনা থেকে আশ্রয় এবং অন্তরের খারাপি থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়াঃ-
আরবি উচ্চারণঃ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻟِﺴَﺎﻧِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻗَﻠْﺒِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﻨِﻴِّﻲ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী, আ’ঊযুবিকা মিন শাররি সাম‘ঈ, ওয়া মিন শাররি বাসারী, ওয়া মিন শাররি লিসানী-ওয়া মিন শাররি ক্বালবী-ওয়া মিন শাররি মানিইয়ী।
বাংলা অর্থঃ হে আমার রব, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চায় খারাপ কিছু শোনা থেকে, খারাপ কিছু দেখা থেকে, খারাপ কিছু বলা থেকে, আমার অন্তরের খারাপি থেকে এবং আমার দৈহিক কামনা-বাসনার খারাপি থেকে। (আবু দাউদ, ১৫৫১, তিরমিযী, ৩৪৯২, নাসাঈ ৫৪৪৪,৫৪৫৫)
৩) গর্হিত চরিত্র, কাজ ও কুপ্রবিত্তি থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়াঃ-
আরবি উচ্চারণঃ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﻋﻮﺫ ﺑﻚ ﻣﻦ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺍﻷﺧﻼﻕ، ﻭﺍﻷﻋﻤﺎﻝ، ﻭﺍﻷﻫﻮﺍﺀ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী, আউ’-যুবিকা মিন মুনকাড়া, তিল আখলা-ক্বি ওয়াল, আ’অমা-লি ওয়াল আহওয়া-অ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ তা আলা, আমি আপনার কাছে গর্হিত চরিত্র, গর্হিত কাজ ও কুপ্রবিত্তি হতে আশ্রয় চায়। (তিরমিযী)
যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে
যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে? হ্যাঁ অবশ্যই আছে। যদি কোন ব্যক্তি জেনা কাজে লিপ্ত হন তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট তওবা করতে হবে। সেজন্য প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে অজু করে নিতে হবে।
এরপর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে। নফল নামাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আপনি যে জেনার কাজে লিপ্ত হয়েছেন, সেই পাপ কাজ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন পাপ না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
ইনশাআল্লাহ, এইভাবে যদি আপনি তওবা করেন এবং দু ফোটা চোখের পানি গড়িয়ে কান্না করে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সেই গুনাহ হোক মাফ করে দিবেন।
লেখকের মন্তব্য - যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে?
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা সকলেই যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে? এবং যিনা মাফের দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনা করে যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি আপনারা যারা www.emamdigitalbd.com এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে চান কিন্তু পারছেন না তারা contact Us গিয়ে সরাসরি admin সাথে কথা বলুন। এখানে একাউন্ট করলেই author। এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। www.emamdigitalbd.com
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url